• Home
  • About Me
  • Books
  • Awards & Recognitions
  • Photo Gallery
      • Back
      • Creative Writing- A Journey Together
      • India beyond the Metros
      • The Narmada Diary
      • Literary Events
      • Sharatchandra'a Home, Panitras Samtaber, West Bengal
  • Blog
  • Web Links
      • Back
      • Posts
          • Back
          • Various Writings
          • প্লাবন জল (Plaban Jal)
          • লিখতে লিখতে অথৈ দূর (Likhte Likhte Athoi Door)
          • চলন বিল (Chalon Bil)
      • Video Links
      • Instagram Links
      • Interviews
      • Book Reviews
          • Back
          • English
          • Bangla
      • Book Introductions
      • News & Reports
  1. You are here:  
  2. Home
  3. Web Links
  4. Posts
  5. লিখতে লিখতে অথৈ দূর (Likhte Likhte Athoi Door)

লিখতে লিখতে অথৈ দূর

  • 08Apr2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১০ – অল্প কথার জীবন

    সতেরো বছর আগে এক শরৎ সকালে বাবাকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল আবাসনের ভিতরকার রাস্তার একপাশে, তাঁর  প্রিয় শেফালি গাছটির নীচে। মাথার চুল কালো, টানটান মসৃণ ত্বক, আট বছর রোদ বাতাসে না বেরিয়ে গৌরবর্ণ ফেটে পড়ছে, কে বলবে এঁর বয়স আশি! শ্মশানযাত্রার ঠিক আগে মায়ের বুক ফেটে কান্নার চেয়ে তীব্র হাহাকার বেরিয়ে এসেছিল। “ওরে আমাদের মানুষটাকে ওরা ঘর থেকে বার করে নিয়ে গেল।” আমার মনের মধ্যে তখন কী ছিল? শোক নয়। বরং এক অনুক্ত আক্ষেপ। আহা,  এমন একজনের সঙ্গে ভাল করে কথা বলা হল না এ জীবনে।

  • 18Mar2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৯ – তোমার আঙিনাতে বেড়াই যখন

    সত্তর দশকের শেষ দিকে লেখা এই কবিতাটির সূচনায় যে শৈশব স্মৃতির প্রগাঢ় ছায়া, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের জীবনের নিত্যনৈমিকতার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ করে চলে আসত একটা করে বেড়ানো। সেসব বেড়ানো আহামরি কিছু নয়। সস্তায়, কম বাজেটে। নতুন জায়গা দেখতে হবে। সংসারের বেড়ি ভেঙে বেরিয়ে পড়তে হবে অন্তত কয়েকদিন, নইলে কয়েক ঘণ্টা।

  • 04Mar2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৮‒ মাতামহ

    দাদুর কথা একটু বেশি করেই বলতে হয়, কারণ তাঁর কাছ থেকে অনাবিল স্নেহ পেয়েছি। বাবার দিকের আত্মীয়স্বজনের সম্ভাষণে মিষ্টত্বের কিছু অভাব বোধ করতাম। রাঙাকাকার মুখে শুনেছি, খুলনা জেলার লোকজন নাকি এমনই হয়। রাখঢাক নেই কথার। তবে মা মনে করতেন, বাবা সেজ ছেলে বলে আমাদের ভাগে ভালবাসা কম পড়েছে। কারণ ন’কাকার মেয়ে, ছোটকাকার মেয়ে পুজোয় জামাকাপড় উপহার পেত, ছোটপিসির ছেলেও পেত, আমরা কখনও পেতাম না।

  • 18Feb2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৭‒ আত্মীয়স্বজন

    হাজরা রোডে থাকতে এসে দেখা গেল, আত্মীয়স্বজনরা অনেকেই কাছেপিঠে। তাঁদের অ-পূর্বঘোষিত  যাওয়া আসা লেগেই থাকত। আমরাও বেড়িয়ে আসতাম তাঁদের বাড়ি। দরজায় বেল ছিল না। কালচে সবুজ রঙের আমকাঠের দরজায় লাগানো লোহার কড়া। একটু নীচের দিকে বলে কেউ কেউ সেটা ঠাহর করতে না-পেরে দরজায় দুম দুম করাঘাত বা পদাঘাত করত। দরজা পাছে ভেঙে যায়, তাই ছুতোর ডেকে আরও একজোড়া কড়া লাগানো হয়েছিল ওপরের দিকে। কিন্তু লোহার ওপর পালিশ ভাল হয়নি বলে তার আওয়াজ কাঠের উপর ভাল ফুটত না। ফলে তাকে বাজানোই হয়নি বেশি।

  • 04Feb2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৬ – ছায়াছবির গান

    মায়ের সেনসরশিপের জন্য আমাদের তিন ভাইবোনের সিনেমা দেখা হয়ে উঠেছিল এক জটিল প্রক্রিয়া। একে তো মা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন না। পর্দায় হঠাৎ কোনও বিস্ময় উদিত হতে পারে। বাচ্চারা আইসক্রিম খেতে চাইতে পারে, টয়লেট পেতে পারে কারও। এসবই দিনের কাজের শেষে উটকো ঝামেলা। মায়ের চিরন্তন সিনেমা-সঙ্গী ছিলেন বাবা।

  • 21Jan2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৪ – বই শোনা, বই পড়া

    বাড়িতে বাবা, মা, দুই বড় দাদা, আর কনিষ্ঠ আমি। বড়দাকে দাদা বলতাম, কিন্তু ছোড়দাকে নাম ধরেই ডেকে এসেছি চিরকাল। বাবা সরকারি চাকরিতে ছিলেন। সংসারে দারিদ্র্য ছিল না, ছিল মধ্যবিত্তের টানাটানিকে পরিপাটি দেখানোর শিল্প। এর মূল শিল্পী ছিলেন আমার ছোটখাটো, কলেজে না-পড়া মা। খাওয়াদাওয়ায় পারিপাট্য ছিল, আর মনোযোগ ছিল পড়াশুনোয়, বইপত্রে। জামাকাপড়ে কোনও ব্যয়বাহুল্য ছিল না।

  • 21Jan2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৫ – কবিতা ও গান

    রবীন্দ্রনাথ পড়লে মনে হয়, মানবজীবনে কবিতা ও গানের মধ্যে কোনও সংঘাত নেই। কবির সব গানকেই কবিতার মতো পাঠ করা যায়, আবার অধিকাংশ কবিতাকেই সুরারোপ করলে দিব্য গান হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ নিজেই হাজার দুই গানে সুর দিয়ে স্বরলিপিও তৈরি করে রেখে গেছেন। সেই গানগুলি অবশ্যই জন্মলগ্নে কবিতা ছিল। অথচ, যথেষ্ট রবীন্দ্রমগ্নতা সত্ত্বেও, আমার শৈশবে গান ও কবিতার মধ্যে এক বিকট সংঘাত দেখা দিল।

  • 17Dec2020
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ৩ – স্কুলের রাস্তা

    ক্ষীরোদ ঘোষ বাজারের ওই বাড়ির কিছু আশ্চর্য ব্যাপার স্যাপার ছিল, যা তখন বুঝতে পারতাম না, এখন পারি। সময় তৈরি করেছে এক দীর্ঘ সাঁকো। সাঁকোর এপার থেকে একটা প্রেক্ষিত পাওয়া যায়, যা কাছ থেকে পেতাম না। রাস্তার উপর তিন তিনটে বড় গেট, ওপরে যাবার তিনটে ঢাউস সিঁড়ি এবং গন্তব্যে পৌঁছনোর বাধা অসংখ্য গলিঘুঁজি। একতলার সিঁড়ির আলো প্রায়ই খারাপ থাকত, ফলে আকাশ থেকে ল্যান্ডিংয়ে এসে পড়া আলোর স্বাদ পাওয়ার জন্য হোঁচট খেতে খেতে উঠতে হত দোতলায়। আনাড়ি নবাগতের গড়িয়ে পড়ে একতলায় ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত ষোলো আনা।

  • 03Dec2020
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২ – প্রকৃতির পাঠশালায়

    ঠিক কবে যে মুখে মুখে কবিতা বলা থেকে আমি নিজে হাতে লেখায় উন্নীত হলাম, তা এখন আর মনে নেই। কারণ আমার তো হাতেখড়ি বলে কিছু হয়নি। আমাদের বাড়িতে অনুষ্ঠানের বহর এমনিতেই কম। জন্মদিনও করা হত না। মা বলতেন, এই সব অনুষ্ঠান ছোটদের আহ্লাদ দিয়ে মাথায় তোলার সামিল। এতে ছেলেমেয়ের বিগড়ে যাবার যথেষ্ট সম্ভাবনা। সারা জীবনই মা কেবল অ্যাবসোলিউট নয়, ব্রুট মেজরিটি উপভোগ করে এসেছেন সংসারে। তাঁর বিরোধীপক্ষ বলে কেউ ছিল না।

  • 17Nov2020
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১ – সম্পাদকের পোস্টকার্ড

    একটা রোদ ছিল। সকালের দিকে ঝলমলে হলুদ। তখন সে আমাদের বাড়ি আসত না। তার রঙে একটু করে কমলা মিশে যেত দুপুরের পর, যখন সে হাজরার মোড় পার হয়ে উল্টো দিকের বাড়িগুলোর কার্নিস টপকে আমাদের জানলার ধারের বিছানায় লুটিয়ে পড়ত। গরমের দিনে কেউ তার খোঁজ করতাম না আমরা। মনের মধ্যে ধরা আছে কেবল শীত-রৌদ্রের স্মৃতি। দুই জানলাপথে এসে পড়া রম্বস আকৃতির দু’ফালি রোদ। তাতে পালা করে, আবার ঠেসাঠেসি করেও বসতাম আমরা।

Page 2 of 2

  • 1
  • 2
© 2019 - 2025 Anita Agnihotri
Developed and Maintained by Argentum Web Solutions