• Home
  • About Me
  • Books
  • Awards & Recognitions
  • Photo Gallery
      • Back
      • Creative Writing- A Journey Together
      • India beyond the Metros
      • The Narmada Diary
      • Literary Events
      • Sharatchandra'a Home, Panitras Samtaber, West Bengal
  • Blog
  • Web Links
      • Back
      • Posts
          • Back
          • Various Writings
          • প্লাবন জল (Plaban Jal)
          • লিখতে লিখতে অথৈ দূর (Likhte Likhte Athoi Door)
          • চলন বিল (Chalon Bil)
      • Video Links
      • Instagram Links
      • Interviews
      • Book Reviews
          • Back
          • English
          • Bangla
      • Book Introductions
      • News & Reports
  1. You are here:  
  2. Home
  3. Web Links
  4. Posts
  5. লিখতে লিখতে অথৈ দূর (Likhte Likhte Athoi Door)

লিখতে লিখতে অথৈ দূর

  • 12May2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: শেষ পর্ব – পৃথিবীর শেষ স্টেশন

    ১৯৮০ সাল। ইন্টারনেট ছিল না। এসটিডিও না। মোবাইল ভবিষ্যতের গর্ভে। কাগজে ছাপা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার রেজাল্ট কে এনে দিয়েছিল এখন মনে নেই। সেইটা হাতে নিয়ে দোতলায় ওঠার কাঠের সিঁড়ির নীচ থেকে কলকাতায় ট্রাংক কল বুক করেছিলাম। ঘন্টা খানেক পর কলকাতায় কথা বললাম। বাবা আর মায়ের সঙ্গে। তাঁরা এতদিন ধরে যা চেয়েছিলেন, তা হয়েছে। ফোনে অবশ্য চোখের জল দেখা যায়না। গলা শুনে বুঝতে পারছিলাম ওঁরা আবেগ বিহ্বল। আমার মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর শেষ স্টেশনে পৌঁছে গেছি। এর পর কোথাও যাওয়ার নেই। তৃপ্তির বোধ নিজের জন্য নয়, আমার প্রতিটি জাগতিক ব্যর্থতা যাঁদের বিচলিত করে সেই মা ও তাঁর ছায়ানুসারী বাবার জন্য। ইয়ারোজ এর নিবিড় স্নেহমাখা কোলের মায়া ত্যাগ করে চলে এলাম মসূরি অ্যাকাডেমি। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ফিরে আসা।তাই মনে হয়েছিল, শিমলা ছিল এক মধুর স্বপন। আমি যেন মসূরিতেই ছিলাম, অন্য কোথাও যাইনি।

  • 21Apr2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৯- স্বর্গ হইতে বিদায়

    শিমলার কথায় আবার ফিরে এলাম। এখনও শিমলা আমার প্রিয় স্মৃতিগুলির অন্যতম। কারণ ধুলো আর সমস্যা জড়ানো কাজের মাটিতে নামার আগে সেই ছিল আমার শেষ স্বর্গবাস। মাত্র আট মাস সময়। যেন কত আনন্দ আর ভবিষ্যত চিন্তাহীন স্বপ্নে ভরে থাকত দিনরাত। প্রতিযোগিতায় কণ্টকিত যে সিভিল সার্ভিসের উত্তাপ মসূরি অ্যাকাডেমিতে গিয়ে পেয়েছিলাম, তার যেন বাষ্পটুকুও নেই শিমলার ঝকঝকে নীল আকাশে, ঠান্ডা হাওয়া আর পাহাড়ের কোলের মধ্যে বসানো এক প্রাসাদের সবুজের ঐশ্বর্যে।

  • 24Mar2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৮- ‘ইয়ারোজ’

    মনখারাপ অনেকটাই কেটে গেল যখন মসুরি জাতীয় আকাদেমিতে ফাউন্ডেশন কোর্স শেষ করে ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিসের ট্রেনিং নিতে শিমলা পৌঁছলাম। উত্তরপ্রদেশের (এখন উত্তরাখণ্ড) মসুরি থেকে কলকাতা হয়ে হিমাচলের শিমলা। পাহাড় যেন নানাদিক থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাকে। কলকাতায় গিয়ে শীতের উপযুক্ত জামাকাপড় নিতে হবে। তাছাড়া ভ্রমণ কৌতূহলী মা যাবেন আমাকে পৌঁছতে, সঙ্গে বাবা। ফাউন্ডেশন কোর্স চলার সময়ই, পরের বছর সর্ব ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষা দেবার জন্য ফর্ম ভরেছি, প্রস্তুতি চালিয়ে গেছি। তা ছিল ঝড়ের মুখে প্রদীপশিখাকে আগলে রাখার মতন কঠিন। ফাউন্ডেশন কোর্সের দৈনন্দিন পড়াশুনো আর পরীক্ষার চাপই অনেক, তা ছাড়া অজস্র এক্স্ট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি। সারাদিন হস্টেলের ঘরে অজস্র বন্ধুর আনাগোনা। তাদের জীবন নিশ্চিন্ত, মধুর, আমার মতো সংকট নেই কারও।

  • 03Mar2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৭- ছিন্ন এ ভাষাবন্ধন

    পিঞ্জর ভেঙে উড়ে যাবার বাসনা যতই গাঢ় হয়ে থাক, ঘর ছাড়ার পর্বটি ছিল আনন্দ-বিষাদে মেশানো। আমি কলকাতার বাঁধন এড়াতে চাই, বাবা-মাও চান আমি ভালো কাজের সুযোগ না হারাই। কিন্তু যে সন্তান কোনওদিন বাড়ি ছেড়ে থাকেনি, তার না থাকার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। ট্রেনে করে গেলাম দেরাদুন। ১৯৬৭-র সেই দীর্ঘ ভ্রমণে তুফান এক্সপ্রেসে গিয়েছিলাম। এবার দুন এক্সপ্রেস। আমাকে একা ছাড়া যাবে না তা স্বতঃসিদ্ধ। মা বেড়াতে ভালোবাসেন বেশি। তাঁকে রেখে বাবার যাওয়া চলবে না। সবাই মিলে দেরাদুনের এক হোটেলে গিয়ে উঠলাম। 

  • 27Jan2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৬- তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল

    এক বর্ষায় এসে পৌঁছেছিল সেই চিঠি। ১৯৭৯-এর জুলাই। না, প্রথমে এসেছিল একটা টেলিগ্রাম। তাতে আমার ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় সার্ভিসের পরীক্ষায় নির্বাচিত হওয়ার খবর আর জাতীয় আকাদেমিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ। তারপর এল বড় ছাপা চিঠি। নানারকম খুঁটিনাটি শর্ত দিয়ে ভরা। অন্য বাড়ি হলে হয়তো শাঁখ উলু এসব হত। আমাদের বাড়িতে থমথমে আকাশের মতো আবহাওয়া। আইএএস পাইনি, পরে জেনেছিলাম সামান্য কয়েক নম্বরের জন্য। কিন্তু না-পাওয়া তো না-ই পাওয়া। 

  • 13Jan2022
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৫- আসুন, কমরেড

    অনেকদিন হল রাইটার্স বিল্ডিংয়ের ভিতরে যাওয়া হয়নি। শেষ গিয়েছি ২০০১-৫, রূপকলা কেন্দ্র গড়ে তোলার পর্বে। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর কাছে মিটিং থাকত অথবা প্রধান সচিবের সঙ্গে ফাইল নিয়ে আলোচনা। মেন গেটের বড় পোর্টিকোর নীচে গাড়ি নামিয়ে দিলে ডিউটিতে থাকা পুলিশ অফিসাররা হাসিমাখা স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানাতেন। ২০১১-তে নবান্নয় অধিকাংশ বিভাগ স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ায় রাইটার্সের জৌলুস অনেকটাই কমে গেছে। মেন গেটে নামার সময় একটি মেয়ের কথা মনে পড়ত, ১৯৭৮ সালে ছ’মাস যার নিয়মিত যাতায়াত ছিল রাইটার্সে। প্রায় প্রতিদিনই বলা যায়।

  • 25Nov2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৪- পতন অভ্যুদয় বন্ধুর পন্থা

    শেষপর্যন্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ পড়া ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছিলাম। ১৯৭৮ সালের মাঝামাঝি কোনও এক সময় অনুভূমিক চেহারার কোষ্ঠীর মতো লম্বা মার্কশিট হাতে পেলাম। হবে না? ষোলো প্লাস এক সতেরোখানা পেপার যে! ৭০ শতাংশের কাছে নম্বর, প্রথম শ্রেণী এবং প্রতিটি  পেপারেই ফার্স্ট ক্লাস। বাড়িতে মা-বাবা ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিলেন। ভদ্রভাবে পাশ করে যাই, এইটুকুনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের চাওয়া। প্রথম হয়েছিল শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরে অর্থনীতির যশস্বী অধ্যাপিকা। বয়স্কদের সেবা ও কল্যাণের জন্য প্রভূত কাজ ও করেছে। দ্বিতীয় হয়েছিল প্রেসিডেন্সির বিএ অনার্সে প্রথম স্থান পাওয়া অনিন্দ্য সেন। আইআইএম কলকাতার অধ্যাপক, আইআইএম রাঁচির ডায়রেক্টর, এখনও অধ্যাপনায় নিযুক্ত। 

  • 11Nov2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২৩- স্বর্গ হইতে বিদায়

    প্রেসিডেন্সি কলেজের তিনবছরের জীবন আমাকে কী দিয়েছিল, তা তখন ভালো করে বুঝিনি। পারিবারিক সমস্যা সকল এক ময়াল সাপের মতো জড়িয়ে থাকত গলায়, আমার মনে জমে থাকত বিষাদের মেঘ। পরে বুঝেছি,  বিশেষ করে কর্মজীবনে। আনাড়ি হাতে তৈরি বেতের চেয়ারে বসার ঘর সাজাতে লজ্জা পাইনি কিংবা ঘরের সতরঞ্চি পাতা মেঝেতে গ্রাম থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবী অতিথিরা এসে শুয়ে থাকলেও। অরণ্যের দুর্মূল্য সেগুন কাঠে খাট-পালঙ্ক-সোফা তৈরি করিয়ে নেওয়ায় আমাদের দু’জনেরই আপত্তি ছিল। বিত্ত নয়,  জীবনে আকাঙ্খা, মানুষের সংস্পর্শ আর অন্তর্দৃষ্টির। এ শিক্ষা প্রেসিডেন্সি কলেজেই পাওয়া।

  • 22Oct2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২২– যা শিখেছ ভুলে যাও

    আমার স্বপ্নের প্রেসিডেন্সি কলেজ। তার মেন বিল্ডিংয়ের ঐতিহাসিক সিঁড়ির দিকে তৃষ্ণার্ত চোখে তাকাই, অকারণে ওঠা নামা করি, কিন্তু এখানে কেবল পাস সাবজেক্ট পড়তে আসা। ইংরাজি, বাংলা , অঙ্ক। আমি একটু হতাশ, যে অর্থনীতির ক্লাস হয় মাঠ পেরিয়ে নতুন বিল্ডিংয়ের দোতলায়, পাশেই পলিটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট। মনে একটু দুঃখও লেগে আছে, আমি তো পড়তে চেয়েছিলাম ইংরেজি সাহিত্য। বাবা বোঝালেন, সাহিত্য পড়লে চাকরি পাওয়া যাবে না।

  • 23Sep2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২১– চক্রব্যূহ

    বাড়িতে অচেনা মানুষের মহাকুম্ভ। যে সব প্রতিবেশীকে কোনওদিন চোখে দেখিনি, তাঁরা আমাকে দেখার জন্য থইথই করছেন। আমাদের ছোট ফ্ল্যাটবাড়িতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। জনসমাগম চলল একটানা। নিউ জলযোগের উপর ভরসা না থাকায় পূর্ণ চন্দ্র দে-র কাছে ছোড়দাকে ছুটতে হল। বাড়িতে এসে কেউ মিষ্টি না খেয়ে ফিরে যাবে, আর মিষ্টি না নিয়ে আমরা কারো বাড়িতে যাবো, এ দুইই অকল্পনীয়। 

  • 09Sep2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ২০– পরীক্ষা পারাবার

    ‘বাঙালি জীবনে পরীক্ষা’ এই শীর্ষক বিষয়ে একাধিক ডক্টরাল থিসিস লেখা হতে পারত। একটা সময় ছিল যখন নিস্তরঙ্গ মধ্যবিত্ত জীবনে পরীক্ষা ছিল একমাত্র মরসুমি থ্রিল। হাপিয়ালি, অ্যানুয়ালি- দুধের শিশুরাও শিখে যেত জন্মের পরবর্তী মুহূর্তে। ভাগ্যিস তখনো ইউনিট টেস্ট আরম্ভ হয়নি, না হলে অশান্তির চক্র আরও ছোট হয়ে আসত। পরীক্ষার রেজাল্টের দিন কৌতূহলী পাড়াপড়শি বা আত্মীয়স্বজন স্কুলে হানা দিয়েছেন, গেটের বাইরে প্রগ্রেস রিপোর্ট দেখবেন বলে, এ আমার স্বচক্ষে দেখা।

  • 26Aug2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৯– গরমের ছুটি

    সাদা একটা বাড়ি। লম্বা। সামনে খোলা বারান্দা। একপাশে সিমেন্ট বাঁধানো বসার জায়গা। তার পিছন দিয়ে ফুলে ভরা বোগেনভিলিয়ার ঝাঁকড়া লতা। লতার ছায়ায় বারান্দার ওই দিকটা ঢাকা। ভিতরে বড় বড় চার পাঁচটা ঘর। মস্ত বসার ঘর। রান্নাঘরটাও দশাসই। তাতে বাঁধানো উনুন। সামনে পিছনে ঘাস ও গাছে ভরা বাগান। এসবই লেখা থাকত মায়ের চিঠিতে। 

  • 12Aug2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৮– নির্বাসন

    আমি তখন ক্লাস টেন। সংসারের শান্ত নদীতে ঢেউ উঠল। বাবার বদলির আদেশ এল। যেতে হবে রৌরকেলা। স্টিল প্ল্যান্ট-এর অডিটের দায়িত্ব। বাবার কাজটা যে বদলির সম্ভাবনাযুক্ত, সেটা আমরা যেন ভুলেই গিয়েছিলাম। এর আগে একবার পদোন্নতি ও বদলির প্যাকেজ একসঙ্গে হাতে এসেছিল। ছেলেমেয়ের পড়াশুনোর দায়িত্বের অজুহাতে বাবা সেটা এত নিঃশব্দে ফিরিয়েছিলেন, তা আমি অন্তত টের পাইনি। এবার তো যেতে হবে। উৎকণ্ঠা। একজনের আয়ে দু’জায়গায় সংসার চালানো। তার উপর দু’জন ডাক্তারি পড়ছে। আমার ক্লাস ইলেভেন হবে পরের বছর। তার উপর কেউ কাউকে কোনওদিন ছেড়ে থাকিনি। ঠিক হয়েছে, মা থাকবেন আমাদের নিয়ে কলকাতার বাসায়। বাবা ওখানে থাকবেন একা। মনখারাপ, তবু মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কি? 

  • 29Jul2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৭- (আমাদের) ডাক্তার ডাকুন

    ১৯৬৭ তে আমার বড়দা কল্যাণ হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে মেডিক্যালে ভর্তি হল। তার দু’বছর পর ছোড়দা উৎপল। দু’জনেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নামক জাঁতাকল উদ্ভাবনের আগে জীবন যে কী সুখের ছিল! ক্লাস ইলেভেনের পর হায়ার সেকেন্ডারি। তার ফলের ভিত্তিতে অ্যাডমিশন। বড়দা ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করল, তিনটে লেটার নিয়ে। বাবা মা কোনও কারণে ভেবেছিলেন সে প্রথম দশের মধ্যে আসবে। তা হল না।

  • 08Jul2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৬- খাটের তলার পৃথিবী

    ‘ভাগ্যিমানির ছবি ‘বলে একটি ছোটগল্প লিখেছিলাম, বছর পনেরো আগে, কলকাতায় বসেই। তাতে মাসি-মেসোর আশ্রিত ছোটমেয়ে ভাগ্যিমানি মনে করে, দু’রকমের পৃথিবী আছে। যারা পেট ভরা খাবার পায়, মা-বাবা পায়, তারা শোয় খাটের উপর। যেমন তার মাসির ছেলে। ভাগ্যিমানি আর তার দিদা খাটের নীচে। মা ছেড়ে গেছে ভাগ্যিমানিকে। খাটের তলার দুনিয়াটা তাই তাদের মতোদের জন্য।

  • 24Jun2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৫- গদ্যের পৃথিবী, কবিতার স্বপ্ন

    কীভাবে একটি কবিতা জন্ম নেয়? মনের মধ্যে এই প্রশ্ন নানা সময়ে ফিরে এসেছে। সৃজনশীল মনের মধ্যে কীভাবে পরস্পরের সঙ্গে সংরক্ত হয় স্মৃতি, বেদনা, উল্লাস এবং পারিপার্শ্বিক থেকে উঠে আসা নানা মানবীয় ছবির উত্তাপ? আর আছে কবির নিজস্ব জীবন দর্শন। এই বিচিত্র প্রক্রিয়া কেবল কবিই অনুভব করতে পারেন, যদিও সে অনুভবের অবয়বও স্পষ্ট নয়। আর মানুষ মানে কি কেবল মানুষই? মানবিক অস্তিত্ব আরোপ করা যায় কত বস্তু , প্রাণি, পরাজাগতিক সত্তাতেও। সন্দেশ পত্রিকায় আমার প্রথম মুদ্রিত কবিতাটি ছিল কোনও রেলগাড়িকে নিয়ে।

  • 10Jun2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৪- সুরের অন্তরাল

    এই ইতিবৃত্তে নিকটজনেদের ছাড়া প্রায় সবার নাম বদলে দিয়েছি, যদিও বিদেশের মতো এখানে পান থেকে চুন খসলে মানহানির মামলা দায়ের হয় না। বড়জোর ফেসবুকে উদ্বেল হয়ে ওঠে আহত চিত্ত।  তার পিছনে অবশ্য বাঙালির রসবোধের ট্র্যাডিশন। সুকুমার রায় তো লিখেই গেছেন, মান মানে কচু। কিন্তু ফাল্গুনী রায়ের নাম আমি বদলাব না। আমার শৈশবের নির্ভার যে কটি সুখস্মৃতি আছে, যার মধ্যে মায়ের উদ্বেগ, মা আর বড়দার দ্বৈরথ, বাবার অফিস বা স্বাস্থ্য সমস্যার ছিটেফোঁটা নেই, তার মধ্যে ফাল্গুনী অন্যতম।

  • 27May2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১৩ – উড়ে যায় মনের কথা

    ছোটবেলাকার সন্ধ্যাগুলি কেমন এক বিষাদের রঙে ডুবে থাকত। আমি হয়তো একটু বেশি ভাবতাম বলেই আমার মনে জমে উঠত উদ্বেগ। রোজ সেই একই উৎকণ্ঠা। বাবা ঠিক সময়ে বাড়ি আসবেন তো? বাড়ি ফিরবেন তো বাবা? এই উদ্বেগ পেয়েছিলাম মায়ের কাছ থেকেই। বাবার অফিস ছিল ডালহৌসিতে। পরে সেন্ট্রাল অ্যাভিন্যু ও তারও পরে কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে। ওখান থেকে ছটার কাছাকাছি সময় বেরিয়ে সাতটা সাড়ে সাতটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছনো খুব সহজ ছিল না।

  • 13May2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১২ – আমি, সন্দেশী

    এবছর সত্যজিৎ জন্মশতবর্ষ কিছুটা ছায়াচ্ছন্ন হয়ে রইল নির্বাচনী ফলাফলের কোলাহলে। তবু বাঙালি লেখক শিল্পীরা ত্রুটি রাখেননি।নতুন বই বেরিয়েছে সত্যজিতের ফিল্ম, তাঁর লেখা, অলঙ্করণের মূল্যায়ন ও স্মৃতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে ফিরে আসছে তাঁকে নিয়ে নিজস্ব স্মৃতিমালা। আমার ছোটবেলা ও কলেজ জীবনের বন্ধুরা– সোমেশ্বর ভৌমিক, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, দেবাশিস মুখাপাধ্যায়ের নতুন বই আমাকে ফেরায় সেই ষাটের দশকের মাঝামাঝি দিনগুলিতে, যখন সত্যজিৎকে চেনার পর্বটি মনের কাছে বিকশিত হচ্ছে। 

  • 22Apr2021
    লিখতে লিখতে অথৈ দূর: পর্ব ১১- বড়দিদিমণি

    এইভাবেই ডাকতাম আমরা বেলতলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণাদিকে। প্রিন্সিপাল ম্যাম ডাকার প্রশ্নই ছিল না বাংলা স্কুলে, আড়ালে যদিও হেডমিসস্ট্রেস বলা যেত। ভাল পড়াশুনোর জন্য স্কুলের কোনও ভূমিকা আছে, এটা আমার বাবা-মা মনে করতেন না। এখন মনে হয় সেটা আমাদের দূরে না পাঠানোর ছুতো। হস্টেল তো নৈব নৈব চ, ইংরিজি মিডিয়াম স্কুলেও পাঠানোর কথা ভাবা হয়নি। আমিও কাছাকাছির স্কুলে দিব্যি ছিলাম। ন্যূনতম পড়াশুনোয় পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে। 

Page 1 of 2

  • 1
  • 2
© 2019 - 2025 Anita Agnihotri
Developed and Maintained by Argentum Web Solutions