বলো তুমি দেবী নও
হাসো, হেসে বলো তুমি দেবী নও,তুমি এক সামান্যা মানবী
এই জন্মের মতো চুকে যাক পলে পলে দাহ, আকিঞ্চন!
বলো, তুমি স্বপ্ন নও, মর্মর, মৎস্যনারী, ইম্পাহানি মায়া।
চাঁদের কেয়ূর পরা নও তুমি কুন্দশুভ্র রাত।
তুমি নৌকা গর্জনকাঠের, তুমি ঠোঁটে ধরো,ধুলিমাখা ধান
অনচ্ছ আঁধারে কেন, কাছে এসো! শোণিতের জ্বালা
নিঃশ্বাসে নেভাও। ওষ্ঠাধরে মুছে দাও চিবুকের অশ্রুজলছবি!
ভাঙা কলসের মুখে জলপিপি বসে। শরবনে
স্থানরোদ বোনে মেঘচ্ছায়া। ওলটানো ডিঙির পেটে
স্বৈরিণী নদীটি দেয় মলপরা দুপায়ের ঠোনাঃ
ছলাৎ ছলাৎ জলঃ পাকা জোয়ারের ক্ষেতে শম্বর দুপুর।
এইসব স্বপ্ন নয়, সব সত্য দেহময়, স্পর্শভারাতুর।
আগুন-পাখির মতো ছিঁড়ে ফেলে স্বপ্নতন্তুজাল
তুমি এসো, শ্যামলী মেয়ের বেশে বাহু পাশে বাঙ্মনসের!
বটের ফলের মতো দংশনে নষ্ট হয়ে
শরবিদ্ধ পড়ে থেকো নীচে
তারপরে দুঃখ নেই, যদি অন্ধ, ধ্বংস হয়ে যাই।
[শ্রেষ্ঠ কবিতা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত]